সারে ভর্তুকির প্রকল্পের এমনই নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রক এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা জারি করেছে।
এখানেই শেষ নয়।
এক রাষ্ট্র, এক কর', 'এক রাষ্ট্র, এক পতাকা' থেকে 'এক রাষ্ট্র, এক নির্বাচন'-এর পরিকল্পনার ধাঁচে সারে ভর্তুকির ক্ষেত্রেও মোদী সরকার এ বার 'এক রাষ্ট্র, এক সার'-এর পথে হাঁটতে চলেছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, এখন থেকে যাবতীয় সারের ব্র্যান্ডের নাম হবে 'ভারত'।
যেমন ভারত ইউরিয়া, ভারত ডিএপি, ভারত এনপিকে। সব সার সংস্থাকেই একমাত্র 'ভারত' ব্র্যান্ডে সার বিক্রি করতে হবে। ২ অক্টোবর নতুন ব্র্যান্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। 'ভারত' ব্র্যান্ডের সারের বস্তায় থাকতে হবে সারে ভর্তুকি প্রকল্পের নতুন নাম 'পিএমবিজেপি' ও লোগো।
বিরোধীদের প্রশ্ন, সারের বস্তায় পিএমবিজেপি লিখে প্রধানমন্ত্রী কি গ্রামের চাষিদের মধ্যে তাঁর ও দলের প্রচার করতে চাইছেন? কেন্দ্রীয় সরকারের পাল্টা যুক্তি, নতুন নাম ঠিক করতে 'মাইগভ' পোর্টালের মাধ্যমে জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছিল। তার পরেই এই নামকরণ।
সার মন্ত্রকের বক্তব্য, 'এক রাষ্ট্র, এক সার' প্রকল্পে সারের ভর্তুকির বহর কমবে। ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে এমনিতেই সারের দাম বেড়ে গিয়ে ভর্তুকির বোঝা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এখন চাষিদের জন্য সারের দাম কম রাখতে ভর্তুকির পাশাপাশি সার সংস্থাগুলি সার পরিবহণের খরচে ভর্তুকি পেয়ে থাকে।
কিছু এলাকার চাষিরা নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের সার পছন্দ করেন। ফলে দেশের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় সার পৌঁছনো হয়। অথচ সমস্ত ইউরিয়াতেই নাইট্রোজেনের পরিমাণ একই থাকে। সব সার একই ব্র্যান্ডে বিক্রি হলে এই ভেদাভেদ থাকবে না। পরিবহণের খরচ ও তাতে ভর্তুকি কমে যাবে। প্রতিটি বস্তায় বার কোড থাকবে। তা চিহ্নিত করে চাষিদের বিক্রি করা হলেই ভর্তুকি দেওয়া হবে। এর ফলে চাষিদের জন্য বরাদ্দ সস্তার ইউরিয়া কারখানায় কাজে লাগানোও বন্ধ হবে।
No comments:
Post a Comment