সমস্ত ভারতের খবর all India news

Sunday, 21 August 2022

পার হত গরু ? কীভাবে চলত মুর্শিদাবাদে গরু পাচারের করিডর ?


 তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে শনিবার আরও চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআই আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, “এটি কোনও সিঙ্গল ম্যান বিজ়নেস নয়, এটি একটি চেন।” গরুপাচারের তদন্তে নেমে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে বীরভূমের একাধিক পশু হাট।

তাঁদের সন্দেহ, এই পশুহাটগুলির আড়ালেই চলত গরু পাচারের রমরমা কারবার। বীরভূমের পশুহাট থেকে সেই গরু মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যেত। ইতিমধ্যেই গরু পাচারের একাধিক অবৈধ করিডরের কথা উঠে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম হল মুর্শিদাবাদ।

 ভাগীরথী নদীতে একাধিক অবৈধ পাচারের ঘাট রয়েছে। আর এখানে পাচারের তথ্যের জন্য বিশেষ একটি পদ্ধতি ব্যবহার করত চোরা কারবারিরা। পাঁচ টাকার নোটে পাচার সংক্রান্ত তথ্য লিখে রাখা হত। স্থানীয় সূত্র মারফত এমন বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে।

 প্রতিটি গরুর জন্য পাচারকারীরা পেত এক হাজার টাকা করে। রীতিমতো জমির ফসল নষ্ট করেই চলত গরুর পাচার। আর এই পাচারকারীদের ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকতেন গ্রামবাসীরা। ভয়ে কেউ প্রতিবাদের সাহস পেতেন না। এখন অবশ্য সিবিআই-এর তত্‍পরতা বাড়ার পর থেকে বন্ধ রয়েছে পাচারের কাজ।

 প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত এলাকায় যে গরুপাচার চক্র কাজ করত, তা মূলত নিয়ন্ত্রণ করা হত বীরভূম থেকেই। গরু পাচারের করিডর হিসেবে ব্যবহার করা হত মুর্শিদাবাদকে। সবথেকে বড় করিডর ছিল পাইকর এলাকা। বীরভূমের হাট এবং মুর্শিদাবাদের অন্যান্য হাট থেকে আসা গরু এখান থেকে পাচার করা হত বলে সূত্রের খবর।

 সাগরদিঘি হাট থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হত গরু। সাগরদিঘি এলাকার মীরপুর ঘাট, টিকলিপাড়া ঘাটস গয়েশাবাদ এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে ঘাট তৈরি করা হয়েছিল।

 আর এই এলাকা দিয়ে গরু পাচারের জন্য পাচারকারীরা ব্যবহার করত পাঁচ টাকার নোট। বাজারে এখন এই নোটের দেখা খুব কম মেলে। 

কিন্তু গরু পাচারকারীদের কাছে এর মূল্য অনেকখানি। কারণ, নোটের গায়েই লেখা থাকত পাচারের গরু সংক্রান্ত তথ্য। তবে এখন অবশ্য এইসব অতীত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তত্‍পরতা বাড়তেই বন্ধ রয়েছে এই পাচারের কাজ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Pages

SoraTemplates

Best Free and Premium Blogger Templates Provider.

Buy This Template