এবার নোট বন্দি নিয়ে অনুসন্ধানের পথে ইডি। ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে নোট বন্দি হওয়ার পর দেশ জুড়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি পুরনো নোট বদল করেছিলেন নতুন নোটে, এবার সেই টাকা বদল নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইতিমধ্যেই আয়কর দফতরের ইনভেস্টিগেশন টিমের কাছে নোট বদল সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠানো হয়েছে ইডির তরফে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে নাম জড়িয়েছে এ রাজ্যের প্রভাবশালীদেরও। সেই সময় বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে নোট বন্দির টাকা বদল হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই সকল নথি রয়েছে আয়কর দফতরের কাছে। তাই বিভিন্ন ব্যাংকের সদর দফতরকে চিঠি দিয়ে নোট বদলের তথ্য জানা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
ইতি সূত্র দাবি, সেই সময় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেদের কাছে থাকা পুরনো ৫০০, ২০০০ টাকার নোট কখনও হাত ঘুরিয়ে বিভিন্নজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বদলে নিয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সময় কে কত টাকা এইভাবে বদলে ফেলেছিলেন তা নিয়েই তদন্ত শুরু করতে চাইছে ইডি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে নাম জড়িয়েছে এ রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর। তাদের সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেওয়া হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
ইডি সূত্রে আরও দাবি, নোট বন্দি পরবর্তী পর্যায়ে নোট বদল নিয়ে আয়কর দফতরের তরফে তদন্ত করা হয়। এবার সেই সকল তথ্য ও নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে ইডির তরফে। মূলত আয় কর দফতর পুরনো নোট বদল নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েক জন প্রভাবশালীর অ্যাকাউন্ট থেকে এমন নোট বদলের তথ্য পান, যারা মধ্যস্থতাকারী মারফত নোট বদল করেছিলেন। সেই সকল তথ্য তুলে দেওয়া হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে, বলে সূত্রের দাবি।
প্রসঙ্গত, শুধু সিবিআই নয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তদন্তের গতি নিয়েও নানা সময়ে প্রশ্ন উঠছে জনমানসে। ওই দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার যতটা সক্রিয়তা দেখানো উচিত্ ছিল, সেই তুলনায় তা অনেক স্তিমিত বলে অভিযোগ উঠছিল। বিভিন্ন সময়ে তদন্তের নিত্যনতুন দিকের কথা বললেও তদন্তকারী সংস্থা সেই সব বিষয়ে কতটা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে, তা পড়েছিল আতসকাচের তলায়।
তবে ইডি অতি সম্প্রতি এসএসসি কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এমনকী গরু পাচার, কয়লা পাচারের মতো কাণ্ডেও ইডি বর্তমানে যথেষ্টই সক্রিয়। এই পরিস্থিতিতে নোটবন্দি নিয়ে ইডি তদন্ত শুরু করতে যাওয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এদিকে, এদিনই সিবিআই-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। দিলীপ ঘোষ বলেন, ''সিবিআই গত কয়েক বছর ধরে এখানে সেটিং করছিল। অর্থ মন্ত্রক বুঝে ইডি-কে পাঠিয়েছে। সেটিং যারা করেছে, তারাই বলছে, ইডি কেন। কারণ এই কুকুরটা পোষ মানবে না, কামড়াবে। তবে ওষুধ কম হচ্ছে অসুখ অনুযায়ী।" দিলীপের এই মন্তব্যের সমালোচনাও শুরু হয়েছে নানা স্তরে।
No comments:
Post a Comment