কোনও নির্দিষ্ট সময় বা কোনও নির্দিষ্ট অফিস থেকেই কাজ করার দিন এখন অতীত। করোনার ঢেউ দেশে আছড়ে পরার সময় থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম- এ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষ। কাজের সময়ের ক্ষেত্রে নমনীয়তা এবং পছন্দমতো কাজ করার ক্ষেত্রে জায়গা বাছাই করার অধিকার থাকুক কর্মীদের।
বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সুবিধাই এখন উন্নত ভবিষ্যতের জন্য বড় চাহিদা। এমনটাই মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার শ্রম মন্ত্রকের এক ভিডিও কনফারেন্সে এই বক্তব্যি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শ্রমমন্ত্রীরা। সেই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে বলেন, '২০৪৭ সালকে মাথায় রেখেই নিয়ম-নীতি আধুনিক, সময়োপযোগী করে তোলায় জোর দিচ্ছে শ্রম মন্ত্রক। অমৃত কালের শপথ পূরণে দেশে কর্মক্ষম যুবাসমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
শ্রমশক্তি না থাকলে দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এ কথা ভালভাবেই বোঝেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই জন্যই দেশের শ্রমশক্তির সুবিধার জন্য কর্মক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন আনার পক্ষে জোর সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে জোর করে কর্মীদের কাজ করালে উন্নতি হওয়ার পরিবর্তে কর্মদক্ষতাতেই খারাপ প্রভাব পড়বে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গেই নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'শ্রম মন্ত্রক দেশে শ্রম সংস্কৃতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছে। যাতে কাজের সময় থেকে কাজের জায়গা, কর্ম সংস্কৃতি সবইতেই বড় বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র।' এবিষয়ে মহিলাদের নিজেদের পছন্দ মতো কাজের সময় ও কাজের জায়গা বেছে নেওয়ার সুবিধে দেওয়ার প্রসঙ্গেও সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম, নমনীয় কাজের সময় মহিলাকর্মীদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হোক।'
এখানেই শেষ নয়, মোদী বলেন, 'ভারত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে পিছিয়ে পড়েছিল, তবে এবার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে কিছুতেই পিছিয়ে থাকা যাবে না। শেষ আট বছরে শ্রম মন্ত্রক একাধিক সংস্কার করেছে। বদলেছে শ্রম আইনও। মূল বেতন, স্বাস্থ্যবীমা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও নিশ্চিত করা হয়েছে।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকেই নতুন শ্রম আইন কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু একাধিক কারণে শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। নতুন শ্রম আইনে একাধিক বিষয়ে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। নতুন লেবার কোডে বলা হয়েছে, কর্মীদের সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। কর্মীরা টানা ১২ ঘণ্টা করে সপ্তাহে 4 দিন কাজ করতে পারবেন কর্মীরা। এই ঘণ্টার মধ্যে দু'বার আধঘণ্টা করে বিরতি নিতে পারেন কর্মী। ১২ ঘণ্টা কাজের সুবিধা হল ৪ দিনেই ৪৮ ঘণ্টা কাজ হবে। সেক্ষেত্রে কর্মীরা সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি পাবেন।
No comments:
Post a Comment